গাজায় একদিনে প্রাণ গেল ৯৪ জনের, আহত শত শত

প্রকাশিত: ৯:৪৩ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২৫

ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর টানা হামলায় সোমবার ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রাণ হারিয়েছেন কমপক্ষে ৯৪ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৪৩৯ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।

২০২৩ সালের অক্টোবরে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০ হাজার ৯৩৩ জনে। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার ২৭ জন ফিলিস্তিনি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা বহু মরদেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। প্রয়োজনীয় উদ্ধার সরঞ্জাম ও জনবল না থাকায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, গাজায় ত্রাণসামগ্রী নিতে আসা সাধারণ নাগরিকদের লক্ষ্য করেও ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালাচ্ছে। সোমবার শুধু ত্রাণ বিতরণস্থলে হামলায় নিহত হয়েছেন ২৯ জন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ৩০০ জন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাসের যোদ্ধারা সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে প্রায় ১,২০০ জন নিহত হন এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল অভিযান শুরু করে গাজায়।

যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি মধ্যস্থতাকারী রাষ্ট্রের চাপে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। তবে দুই মাস পার না হতেই ১৮ মার্চ আবারও অভিযান শুরু করে আইডিএফ (ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী)। দ্বিতীয় ধাপের এই হামলায় গত চার মাসে প্রাণ হারিয়েছেন আরও ৯ হাজার ৪৪০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন প্রায় ৩৮ হাজারের কাছাকাছি।

হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ২৫১ জনের মধ্যে এখনও প্রায় ৩৫ জন জীবিত থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, সামরিক অভিযান চালিয়েই তাদের উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো একাধিকবার গাজায় অভিযান বন্ধে আহ্বান জানালেও ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন—হামাস নির্মূল ও জিম্মিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত গাজায় অভিযান অব্যাহত থাকবে।