রাশিয়ার অঞ্চলে ২টি পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ ট্রাম্পের PAYRA NEWS PAYRA NEWS প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২, ২০২৫ ডেস্ক রিপোর্ট: রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের মন্তব্যকে “উসকানিমূলক” আখ্যা দিয়ে দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে প্রস্তুত অবস্থানে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, “মেদভেদেভের বেপরোয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আমি দুটি পারমাণবিক সাবমেরিনকে যথাযথ এলাকায় মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি।” তিনি বলেন, “এ ধরনের কথাবার্তা অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনার জন্ম দিতে পারে। আমি আশা করছি, এবার তেমন কিছু ঘটবে না।” তবে ঠিক কোন এলাকায় এই সাবমেরিনগুলো মোতায়েন করা হয়েছে, সে বিষয়ে ট্রাম্প কিছু বলেননি। মার্কিন প্রতিরক্ষা নিয়ম অনুযায়ী, এসব মোতায়েন সংক্রান্ত তথ্য সাধারণত গোপন রাখা হয়। এছাড়া সাবমেরিনগুলো শুধু পারমাণবিক শক্তিচালিত, নাকি পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত—তাও স্পষ্ট করেননি ট্রাম্প। এর আগে রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের ডেপুটি চেয়ারম্যান মেদভেদেভ, ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারির জবাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুমকি দেন। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ না হলে রাশিয়ার জ্বালানি খাতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প, যার সময়সীমা ঠিক করেছিলেন আগামী ৮ আগস্ট পর্যন্ত। এই আল্টিমেটামকে ‘যুদ্ধের এক ধাপ’ হিসেবে অভিহিত করে মেদভেদেভ বলেন, “এই সব কিছু নিছক নাটক। রাশিয়া এসব নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয়।” একই পোস্টে তিনি ‘ডেড হ্যান্ড’ ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করেন, যা রাশিয়ার পারমাণবিক প্রতিশোধ সক্ষমতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্প এই হুঁশিয়ারির প্রতিক্রিয়ায় মেদভেদেভকে ‘ব্যর্থ সাবেক প্রেসিডেন্ট’ বলে উল্লেখ করেন এবং সতর্ক করে বলেন, “ভেবেচিন্তে কথা বলো, তুমি বিপজ্জনক এক পথ ধরে হাঁটছ।” উল্লেখ্য, মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন এবং বর্তমানে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধের জোরালো সমর্থক। সাম্প্রতিক সময়ে ট্রাম্প ও মেদভেদেভের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাকবিতণ্ডা ও পারস্পরিক কটাক্ষ বাড়ছে। এদিকে মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা বৈশ্বিকভাবে উদ্বেগ সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে যখন রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের হাতে বিপুল পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাশিয়ার সরকারি মহল থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ট্রাম্পের ঘোষণার পর মস্কোর শেয়ারবাজারে বড় ধস দেখা দিয়েছে। SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: